চরফ্যাশন প্রতিনিধি : চরফ্যাশন উপজেলার টানা ৩দিনের প্রবল বর্ষণে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পুকুর, ডোবা নদী-নালা, পৌর সভার কয়েকটি সড়ক পানিতে ডুবে যায়। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। মৎস্য চাষীদের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানিয়েছেন।
শুক্রবার স্থানীয় পৌর সভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এ আর এম মামুন বলেন, আমার বাসার সামনের সড়কটি ডুবে হাটু পরিমান পানি হয়েছে। যাতায়াতে করতে খুবই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার বিছিন্ন দ্বীপ ঢালচরের বাসিন্দা ্ধসঢ়; জানান, প্রতি বছর ইসমাইল হাওলাদার বলেন, এই সময়ে জোয়ারের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী হয়ে থাকে। আবার বৃষ্টির পানি বৃদ্ধি পেয়ে সাধরণ মানুষ পনিবন্ধী হয়ে যায়।
গত ৩ দিন ধরে দক্ষিণ-পূর্ব কোণের বাতাসের দাপট থাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক উচ্চমাত্রার জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে সমগ্র ঢালচর। পানির তোরে গ্রামের কাঁচা রাস্তাগুলো ভেঙ্গে গেছে এবং ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। ডুবে গেছে ঘরভিটা, ফসলের ক্ষেত ও হাটবাজার। দক্ষিণ উপকূলের ঢালচরের বাগান থেকে শতাধিক মহিষ জোয়ারের টানে সাগরে ভেসে গেছে। জোয়ারের পনিতে ঢালচরের কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় ঢালচর ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম হাওলাদার জানান, জোয়ারে প্লাবিত হওয়ায় স্কুলে ছাত্র ছাত্রীরা যেতে পারছেনা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন জানান, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকায় প্লাবিত এলাকার খোঁজ খবর নেয়া সম্ভব হচ্ছে না, তবে যোগাযোগের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে (ডিভিশন-২) নির্বাহী প্রকৌশলী কাইসার আলম জানান, স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৬ ফুট উচ্চতার জোয়ারের ঢাল চরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বেঁড়িবাধ না থাকার ফলে উপজেলার ঢালচরের মেঘনা পাড়ের মানুষ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply